নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তফিকুল আলম এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে হাত ভেঙে দিলেন একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক।
এঘটনায় মোঃ তফিকুল আলম বাদী হয়ে ১৯/ জুলাই মঙ্গলবার লোহাগড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯/জুলাই মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তফিকুল আলম পৌর অফিসে তার নিজ কক্ষে অফিসিয়াল কাজ করতেছিলেন।
 এসময় হঠাৎ করে তার অফিস কক্ষে ঢোকে একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করে।
এ-সময় নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তফিকুল আলম বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কে ষ্টামপলার মেশিন নিয়ে আঘাত করে ওই আঘাতে তার হাতের আঙুল ভেঙে যায়,
আহত মোঃ তফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন আমি আমার কক্ষে অফিসের কাজ করতেছিলাম অফিসে লোক কম থাকায় অফিস সহায়ক বাবু কে অন্য যাইগাতে কাজ করতে বলি।
এসময় স্যাইয়াদুল হক আমার রুমে ঢুকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলেন তুই আমার অফিস সহায়ক কে অন্য যায়গাতে কাজ করতে বলার কে আমার অফিস সহায়ক আমার কাজেই থাকবে এই বলে আমি কিছু বুঝে ওঠার আগে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছি।
 এঘটনার পরে আমি মেয়র সাহেব এর সাথে কথা বলে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক এর সাথে ০১৭১৫ ২১৮৭১৭ নাম্বারে  মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় নাই, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে কটুক্তি করেছে তাই তাকে মারা হয়েছে,এসময় তার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে কি কটুক্তি করেছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন কাল অফিসে দেখা কইরেন কথা হবে। 
এবিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান এর সাথে ০১৭১১২৮৪২৯৫ নাম্বারে যোগাযোগ করে  তাকে পাওয়া যায় নাই,
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি এজাহার কপি এখন ও হাতে পাইনি। কপি পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।